ভূ-অর্থনীতি কী? ব্যাখ্যা কর। অথবা, ভূ-অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়? অথবা, ভূ-অর্থনীতির সংখ্যা দাও।
ভূমিকা : অর্থনীতির ভাষায় ভূমি বলতে ঐ সকল প্রাকৃতিক সম্পদকে বুঝায় যা উৎপাদন কাজে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সংশ্লিষ্ট বায়ু, পানি, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী যা কিছু উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকে তার সব কিছুই ভূ-অর্থনীতির অন্তর্গত।
ভূ-অর্থনীতি : ভূ-অর্থনীতি এটি বাংলা শব্দ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Geo-economics. ভূ-অর্থনীতির যে ধারণা বর্তমানে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে তা মূলত Edward Luttwak এর রচিত বিভিন্ন নিবন্ধ ও গ্রন্থের যে ভূ-কৌশলের নতুন নতুন ব্যাখ্যা তারই সমন্বিত রূপ।
১৯৯০ এর দশকে প্রকাশিত তার এই ব্যাখ্যা পরবর্তীতে পাবলিক এজেন্ডায় পরিণত হয়। Edward Luttwak তাঁর ভূ-অর্থনীতির ধারণা বলতে বুঝিয়েছেন, "The continuation of the ancient rivalry of the nations by new industrial means." বর্তমানকালে যুদ্ধ প্রতিস্থাপিত হয়েছে বাণিজ্যিক দখলে
ফলে দেখা যায় যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিক কতটা অগ্রসর হয়েছে সেটা বিবেচ্য বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয় না। বরং এটা বিবেচনা করা হয় দেশের পণ্যে বিশ্ববাজার কতটুকু দখল হয়েছে। Edward Luttwak যেভাবে ভূ-অর্থনীতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা অত্যন্ত চমকপ্রদ।
তিনি তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য, বলকান অঞ্চলসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভৌগোলিক সংঘাত বিদ্যমান ছিল। এখনও বর্তমান, তবে তাদের সংঘাত সমাধানকল্পে বিশ্বের কেন্দ্রীয় স্থানগুলো যেমন আমেরিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন শক্তিধর দেশ তাদের সহযোগিতার নামে নিজেদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরো সংহত করছে।
উপসংহার: পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ভূ অর্থনীতির যে বিষয়টি আমাদের নেতৃত্ব প্রদান করে তা হলো কৌশলগত মাত্রা। ব্যক্তিগত উদ্যোগ বিনিয়োগ, গবেষণা এবং শিল্পোন্নয়ন করে থাকে কিন্তু রাষ্ট্র যখন এ সকল কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে সাহায্য করে থাকে অথবা পরিচালনার নামে। দায়িত্ব নেয় তখনি এগুলো ভূ-অর্থনীতি হিসেবে গণ্য হয়।