সুশীল সমাজের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ ।

সুশীল সমাজ বলতে বুঝায় দাতব্য কার্যাবলি সম্পাদন, প্রতিবেশীদের পারস্পরিক সাহায্য কর্মসূচি, পরিচালনা, জাতিসংঘ  ও রেডক্রসের কার্যাবলি, নিপীড়িত সমাজে মানবাধিকারের কথা প্রচার এবং এনজিওর স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড। সুশীল সমাজের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সুশীল সমাজে সিভিল সোসাইটি ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পন্ন করে থাকে।

সুশীল সমাজের বৈশিষ্ট্য : সিভিল সোসাইটির বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১.সিভিল সোসাইটি সকলের জন্য উন্মুক্ত: সিভিল সোসাইটি সকলের জন্য একটি উন্মুক্তসমাজ। এখানে কোন বাধাবন্ধন নেই। এর সদস্যপদ সকলের জন্য উন্মুক্ত। সকল শ্রেণি পেশার লোক এর সদস্য হতে পারে। এখানে কাউকে বঞ্চিত করা হয় না। যে কেউ এর সদস্য হতে পারে। তবে এর সদস্যদের কতিপয় নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।

২. পৌঁর অধিকার শক্তিশালীকরণ : সিভিল সোসাইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নাগরিকদের পৌর অধিকার শক্তিশালী করা কি বিভিন্ন পৌর অধিকারের অধিকারী। কিন্তু উপযুক্ত শিক্ষা ও চেতনার অভাবে সে এগুলো সম্পর্কে সচেতন নয়। সিভিল সোসাইটি তাকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলে।

৩.সিভিল সোসাইটির নিয়মনীতি গতিশীল ও গুরুত্বপূর্ণ: সিভিল সোসাইটি অনেক নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে। এসব নিয়মকানুন হয় গতিশীল। এগুলো কারো জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। না। সিভিল সোসাইটি বিকাশে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪.সিভিল সোসাইটি স্বতঃস্ফূর্ত : সিভিল সোসাইটি একটি সংগঠন, কার্যকলা অংশগ্রহণমূলক, ঐচ্ছিক ও পেশাগইভাবে কাজ করে। এটা স্বাধীনতার জন্য, সম্প্রদায়ের জন্য, স্থানীয় এলাকার জন্য, নৈতিকতার জন্য এবং ঐক্যের জন্য কাজ করে।

৫.স্বায়ত্ত শাসন: স্বায়ত্ত শাসন সিভিল সোসাইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সিভিল সোসাইটি তার কার্যের স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। এটা স্বায়য়শাসনের বাধাকে অতিক্রমের চেষ্টা করে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, সুশীল সমাজের বহুবিধ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সুশীল সমাজে নাগরিকান সাধারণ ও সেবামূলক কার্যাবলি নিজের সম্পাদন করে থাকে ট সকলের জন্য উন্মুক্ত ও স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করতে পারে। সুশীল সমান হলো একটি আদর্শভিত্তিক সমাজ, যেখানে থাকে না।

পূর্ববর্তী পরবর্তী
No Comment
মন্তব্য করুন
comment url