যুদ্ধ আইন কী? যুদ্ধ আইন কাকে বলে? যুদ্ধ আইন বলতে কি বোঝায়
যুদ্ধ আইন : নিম্নে যুদ্ধ আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. দুটির সমান শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ হতে হবে।
২. যুদ্ধের ঘোষণা দিতে হবে। ৩. কোনো পক্ষ বশ্যতা স্বীকার করলে সেটি মেনে নিতে হবে।
৪. সামরিক প্রয়োজনীয়তার নীতি অনুসরণ করতে হবে।
৫. যুদ্ধে বিরতি থাকতে হবে।
৬. বিশেষ মারণাস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ নীতি মানতে হবে।
উপরের আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনসমূহের সার-সংক্ষেপ তুল ধরা হলো :
১. যুদ্ধ ঘোষণা : আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইন অনুসারে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে যেন বেসামরিক ও নিরীহ মানুষের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয় বা তারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারে।
২. ক্ষমতার সমতা : যুদ্ধ হতে হবে সমান ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যাতে করে যুদ্ধের ভয়াবহতায় একপক্ষ ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।
৩. বশ্যতা স্বীকার মেনে নেওয়া : যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যদি কোনো পক্ষ বশ্যতা স্বীকার করতে চায় তাহলে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সেই বশ্যতা স্বীকারকে মেনে নিতে হবে এবং বশ্যতা স্বীকারকারী পক্ষ কোনো রকম চালাকির আশ্রয় নিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে পারবে না। আর যদি এটি করে তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেই পক্ষের বিচারকার্য সম্পাদন করতে হবে।
৪. সামরিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা নীতি : যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক শক্তির প্রয়োজন পড়লে তা নীতি অনুসারে নিতে হবে।
৫. যুদ্ধ বিরতি : যুদ্ধে শত্রু পক্ষকে বশ্যতা স্বীকার করার জন্য যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে সময় প্রদান করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইনের ভিত্তিতে করা হয়।
৬. অস্ত্র ব্যবহার নীতি : পরিবেশ ও মানুষের প্রাণঘাতি ঘটে। এমন বিশেষ অস্ত্রের নিষিদ্ধতা আন্তর্জাতিক আইনে আছে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, যুদ্ধ হচ্ছে রাজনৈতিক বাস্ত বতা। কিন্তু এ রাজনৈতিক বাস্তবতার মাত্রা ও ভয়াবহতা কমানোর জন্য যুদ্ধসংক্রান্ত আলোচ্য নীতি বা আইনসমূহ অত্যন্ত কার্যকরি। কাজেই সভ্যতার পতন ঘটিয়ে জাতিরাষ্ট্রের ক্ষমতা চর্চার বলি যেন পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও নিরীহ মানুষকে দিতে না হয় এজন্য আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।