মানুষ আইন মান্য করে কেন?
আইন মান্য করার কারণ কি?
মানুষ কেন আইন মান্য করে এ নিয়ে মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ মনে করেন যে, রাষ্ট্রে অরাজকতার আশংকায় এবং শাস্তির ভয়ে মানুষ আইনকে মেনে চলে। এ ধারণায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের মধ্যে হবস, বেন্থাম ও অস্টিনের নাম সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, মানুষ আইনের উপযোগিতা উপলব্ধি করে বলে তা মান্য করে। ফরাসী দার্শনিক রুশো এবং কতিপয় আদর্শবাদী দার্শনিক এ ধারণায় আস্থা স্থাপন করেন। তবে এই দ্বিমুখী অভিমতের সমন্বয় সাধন করেছেন স্যার হেনরী মেইন এবং তাঁর অনুসারী ঐতিহাসিক আইনজ্ঞগণ। তাঁদের মতে, মানুষ শান্তির ভয় এবং উপযোগিতার উপলব্ধি এ দু'কারণেই আইন মান্য করার কারণ।
মানুষ কেন আইন মান্য করে এ নিয়ে মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ মনে করেন যে, রাষ্ট্রে অরাজকতার আশংকায় এবং শাস্তির ভয়ে মানুষ আইনকে মেনে চলে। এ ধারণায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের মধ্যে হবস, বেন্থাম ও অস্টিনের নাম সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, মানুষ আইনের উপযোগিতা উপলব্ধি করে বলে তা মান্য করে। ফরাসী দার্শনিক রুশো এবং কতিপয় আদর্শবাদী দার্শনিক এ ধারণায় আস্থা স্থাপন করেন। তবে এই দ্বিমুখী অভিমতের সমন্বয় সাধন করেছেন স্যার হেনরী মেইন এবং তাঁর অনুসারী ঐতিহাসিক আইনজ্ঞগণ। তাঁদের মতে, মানুষ শান্তির ভয় এবং উপযোগিতার উপলব্ধি এ দু'কারণেই আইনকে মানা করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লর্ড ব্রাইস (Lord Bryce) জনগণের আইন মেনে চলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে: নির্লিপ্ততা, দণ্ডভয়, সহানুভূতি, উপযোগিতার উপলব্ধি এবং শ্রদ্ধাবোধ। নির্লিপ্ততার অর্থ হলো মানুষ রাজনৈতিক বিষয়াদির ব্যাপারে নির্লিপ্ত অর্থাৎ উদাসীন। তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে কোনরূপ মাথা ঘামাতে চায় না। সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় আইনকেই তাঁরা কোনরূপ চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই মান্য করে চলে। অনেকে আবার দণ্ড ভয়ের বশবর্তী হয়ে আইন মেনে চলে। সহানুভূতির অর্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষের আচরণের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ হয়ে কোন কাজ করা। অধিকাংশ জনগণ যখন কোন বিশেষ আইনকে মান্য করে চলে তখন তাদের অনুবর্তী হয়ে অপরাপর জনগোষ্ঠীও তা মেনে চলে। শ্রদ্ধাভক্তিও আইন মেনে চলার পেছনে ক্রিয়াশীল হয়। অর্থাৎ কোন জননেতা বা রাষ্ট্রনায়কের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি প্রদর্শনপূর্বক মানুষ তাদের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে চলে। এছাড়াও আইন মান্য করার পেছনে রয়েছে আইনের উপযোগিত। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে এই উপলব্ধি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই দেখা যায় যে, যে দেশ বা জাতি যত উন্নত ও সভ্য সেদেশের জনগণ উপযোগিতার করণেই আইনের প্রতি তত বেশি শ্রদ্ধা পোষণ করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আইনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন জনগণের কর্তব্য বটে, কিন্তু তা নিরঙ্কুশ নয়। প্রকৃতপক্ষে আইন হচ্ছে কোন বৈধ কর্তৃপক্ষের আদেশ। জনগণ এমন আইন মেনে চলবে না যা তাদের ব্যক্তি সত্ত্বার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। টিএইচ গ্রীণ (T.H. Green) বলেছেন, 'রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে অমান্য করা যায় তখনই যখন তা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে। অধ্যাপক লাক্ষী (Laski) বিষয়টিকে আরো স্পষ্ট করে তোলেন যখন তিনি বলেন, “জনগণের সর্বশেষ আনুগত্য হলো আদর্শের উপর"। রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি আনুগত্য পোষণ না করা অন্যায়, তবে আপত্তিকর আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে তা হয় বিবেক ও সমাজের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।
এরিস্টটল নাগরিকদের প্রয়োজনীয় গুণাবলী এবং অপ্রয়োজনীয় গুণাবলীর মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেছেন। অপ্রয়োজনীয় গুণাবলীর মধ্যে আবাসগৃহ, গোত্র বা বংশ, আইনগত সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর নাগরিক কর্তব্য, সম্পাদন এবং রাজনৈতিক কার্যাদি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত। এরিস্টটল তাই জোর দিয়ে বলেন, "একজন নাগরিককে অবশ্যই নগর রাষ্ট্রের সক্রিয় সদস্য হতে হয়।
নকে মানা করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লর্ড ব্রাইস (Lord Bryce) জনগণের আইন মেনে চলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে: নির্লিপ্ততা, দণ্ডভয়, সহানুভূতি, উপযোগিতার উপলব্ধি এবং শ্রদ্ধাবোধ। নির্লিপ্ততার অর্থ হলো মানুষ রাজনৈতিক বিষয়াদির ব্যাপারে নির্লিপ্ত অর্থাৎ উদাসীন। তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে কোনরূপ মাথা ঘামাতে চায় না। সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় আইনকেই তাঁরা কোনরূপ চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই মান্য করে চলে। অনেকে আবার দণ্ড ভয়ের বশবর্তী হয়ে আইন মেনে চলে। সহানুভূতির অর্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষের আচরণের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ হয়ে কোন কাজ করা। অধিকাংশ জনগণ যখন কোন বিশেষ আইনকে মান্য করে চলে তখন তাদের অনুবর্তী হয়ে অপরাপর জনগোষ্ঠীও তা মেনে চলে। শ্রদ্ধাভক্তিও আইন মেনে চলার পেছনে ক্রিয়াশীল হয়। অর্থাৎ কোন জননেতা বা রাষ্ট্রনায়কের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি প্রদর্শনপূর্বক মানুষ তাদের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে চলে। এছাড়াও আইন মান্য করার পেছনে রয়েছে আইনের উপযোগিত। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে এই উপলব্ধি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই দেখা যায় যে, যে দেশ বা জাতি যত উন্নত ও সভ্য সেদেশের জনগণ উপযোগিতার করণেই আইনের প্রতি তত বেশি শ্রদ্ধা পোষণ করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আইনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন জনগণের কর্তব্য বটে, কিন্তু তা নিরঙ্কুশ নয়। প্রকৃতপক্ষে আইন হচ্ছে কোন বৈধ কর্তৃপক্ষের আদেশ। জনগণ এমন আইন মেনে চলবে না যা তাদের ব্যক্তি সত্ত্বার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। টিএইচ গ্রীণ (T.H. Green) বলেছেন, 'রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে অমান্য করা যায় তখনই যখন তা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে। অধ্যাপক লাক্ষী (Laski) বিষয়টিকে আরো স্পষ্ট করে তোলেন যখন তিনি বলেন, “জনগণের সর্বশেষ আনুগত্য হলো আদর্শের উপর"। রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি আনুগত্য পোষণ না করা অন্যায়, তবে আপত্তিকর আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে তা হয় বিবেক ও সমাজের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।
এরিস্টটল নাগরিকদের প্রয়োজনীয় গুণাবলী এবং অপ্রয়োজনীয় গুণাবলীর মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেছেন। অপ্রয়োজনীয় গুণাবলীর মধ্যে আবাসগৃহ, গোত্র বা বংশ, আইনগত সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর নাগরিক কর্তব্য, সম্পাদন এবং রাজনৈতিক কার্যাদি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত। এরিস্টটল তাই জোর দিয়ে বলেন, "একজন নাগরিককে অবশ্যই নগর রাষ্ট্রের সক্রিয় সদস্য হতে হয়।